সিরাজগঞ্জে মেডিকেল কলেজের আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার শিয়ালকোল এলাকায় মেডিকেল কলেজটির সামনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

মানববন্ধনের একপর্যায়ে তাঁরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিরাজগঞ্জ-নলকা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন।

মানববন্ধনে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাতেমা খাতুন বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা বেপরোয়া যাতায়াত করে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছে। তারা ক্যাম্পাসে মাদক সেবন করছে। এখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যেন, এই কলেজ পড়ালেখার জায়গা নয়। এটি যেন একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। রাস্তায় বের হওয়া যায় না। নিজেদের ক্যাম্পাসে নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই। বিষয়টি বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কাজ হয়নি। নিরাপত্তাকর্মীরাও ঠিক সময়ে আসেন না, প্রয়োজনের সময় তাঁরা থাকেন না।

মাহবুবা রহমান নামে আরেক ইন্টার্ন চিকিৎসক বলেন, ‘গত রমজান মাসেই এখানে আমাদের এক ইন্টার্ন চিকিৎসক ইভ টিজিংয়ের শিকার হয়েছেন। এ বিষয়ে কলেজ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে একদল বহিরাগত ক্যাম্পাসের গোল চত্বর এলাকায় এসে আড্ডা দিচ্ছিল। তাদের আমরা চিনি না। পরে আমরা কজন শিক্ষার্থী তাদের এখান থেকে চলে যেতে অনুরোধ করলে তারা আমাদের উল্টো হুমকি দিয়েছে। তারা বলে এটা আমাদের এলাকা, আমরা এখান থেকে যাব না।’

সিরাজগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মজিদ বলেন, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও নিরাপত্তা চেয়ে শিক্ষার্থীদের সড়কে মানববন্ধনের খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। এ বিষয়ে তাঁদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁরা কর্মসূচি শেষ করেন।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খায়রুল আতাতুর্ক প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক এবং তাঁরা যে বিষয়গুলো তুলে ধরছেন তা সত্য। তবে এখানে নির্মাণ প্রকল্পের অর্থ তছরুপ সমস্যার কারণে কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরের প্রধান তিনটি ফটক এখনো নির্মাণ শেষ হয়নি। ফটক থাকলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেগুলো লাগিয়ে দেওয়া যেত। এতে বহিরাগতরা অবাধে ভেতরে ঢুকতে পারত না। তাঁদের নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও কম। বিষয়টি সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে।