নিলুফার বাড়িতে ফুল নিয়ে ডিসি, ক্রীড়া সংস্থা গেল মিষ্টি নিয়ে

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান নিলফুার মাকে। শুক্রবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

সাফ চাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী নারী ফুটবল দলের সদস্য কুষ্টিয়ার মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নিলার মাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। আজ শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার বর্ধিত জুগিয়া সবজি ফার্মপাড়ায় নিলুফার বাড়িতে জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধন কুমার বিশ্বাস, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন উদ্দিন যান।

আরও পড়ুন

সড়ক থেকে অন্তত ৫০০ গজ হেঁটে প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিলুফার বাড়িতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে গিয়ে প্রথমেই নিলুফার মা বাছিরন আক্তারের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন। এরপর অতিথিদের ঘরের ভেতর নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। ঘরে থাকা নিলুফার বিভিন্ন সময়ে অর্জন করা মেডেল, ক্রেস্টগুলো দেখেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রায় আধঘণ্টা বসে আলাপ করেন তাঁরা। নিলুফার পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা চলে আসেন।

আরও পড়ুন
সাফজয়ী নিলুফার বাড়িতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা। নিলুফার পরিবারের সদস্যদের মিষ্টিমুখ করান তাঁরা। শুক্রবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

এদিকে বিকেল চারটার দিকে নিলুফার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার নন্দীসহ ক্রীড়া সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাঁরা নিলুফার মা, নানি ও বোনকে মিষ্টি খাওয়ান। নিলুফা কুষ্টিয়ায় ফিরলে তাঁকে ক্রীড়া সংস্থা থেকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান।

সেখানে উপস্থিত জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদেরী প্রথম আলোকে বলেন, আগামী বুধবার নিলুফা ঢাকা থেকে ফেরার সময় কুষ্টিয়া কুমারখালী গড়াই নদের ওপর সৈয়দ মাছউদ রুমী সেতু এলাকা থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে শহরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেদিন আনন্দ উৎসবে তাঁকে বরণ করা হবে।

কুষ্টিয়া পৌরসভার স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শাহিন উদ্দীন তাঁর ব্যক্তিগত খরচে শ্রমিক দিয়ে নিলুফার বাড়িতে যাওয়ার সড়ক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বাড়ির উঠানে বালু ফেলে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ ছাড়া ওয়ার্ডের পক্ষ থেকেও তাঁকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।