চট্টগ্রামের সেই ৬ তলা ভবন হেলে পড়ল এই ভূমিকম্পেও
চট্টগ্রাম নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় একটি ছয়তলা ভবন পাঁচ বছর আগে ভূমিকম্পে কিছুটা হেলে পড়েছিল। আজ শুক্রবার সকালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ভবনটি আরও হেলে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশের সদস্যরা ভবনটি পরিদর্শন করেছেন।
আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সদস্যরা ভবনটি দেখতে যান। ভবনটি নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকায় পড়েছে। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ভূমিকম্পের পর ভবনটি আরও একটু হেলে পড়েছে। বিষয়টি দেখার দায়িত্ব চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)। এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে।
বেলা তিনটায় সরেজমিনে দেখা যায়, ছয়তলা ভবনটির নাম স্টার ভবন। ভবনের ছাদ পাশের আরেক ভবনের দিকে কিছুটা হেলে পড়েছে। পাশের ভবনের মালিক আবদুল্লাহ বিন আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে ভবনটি কিছুটা হেলে পড়েছিল। তখন সরকারি সংস্থাগুলোকে ডাকা হয়েছিল। সিডিএ বলেছিল ওপরের দুই তলা ভেঙে ফেলতে, কিন্তু তা হয়নি।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস জানান, ভবনটিকে এরই মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এখন নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ভবনটির মালিক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম। ভবনটিতে রয়েছে আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ডায়াবেটিক কেয়ার সেন্টার। এ ছাড়া ওপরের তলায় বসবাস করে কয়েকটি পরিবার।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ মনজুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবনটি পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা কোনো ঝুঁকি নেব না। নিয়ম অনুযায়ী প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও আজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পে ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ভবন হেলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।