শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের হিজাব-নেকাব খুলতে বাধ্য করা ও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মেসেঞ্জারে ‘অপ্রীতিকর বার্তা’ পাঠানোর অভিযোগ ওঠার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ওই বিভাগের একাডেমিক কমিটিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিভাগীয় সভাপতি মোহা. আশরাফ উজ জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহা. আশরাফ উজ জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আজ একাডেমিক কমিটির সভা হয়। সভায় কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমানকে পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষক অভিযোগ স্বীকার করায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। আজ থেকেই অব্যাহতি কার্যকর হবে।'
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে অভিযোগ করেন হাফিজুর রহমান শ্রেণিকক্ষে ছাত্রীদের হিজাব-নেকাব খুলতে বাধ্য করেন। পাশাপাশি তিনি কয়েকজন ছাত্রীকে মেসেঞ্জারে ‘অপ্রীতিকর বার্তা’ পাঠিয়ে হেনস্তা করেন। এ সময় তাঁরা ওই শিক্ষককে পাঠদান থেকে অব্যাহতি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সভাপতির কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ বেলা ১১টায় বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভা শুরু হয়। সভায় এসব অভিযোগ আলোচনা করে ওই শিক্ষককে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতির সুপারিশ করেন একাডেমিক কমিটির সদস্যরা।
এদিকে আজ সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে হাফিজুর রহমানকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ওই শিক্ষককে ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিও জানান তাঁরা।