সরকার হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সংবিধানে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকারের কথা বলা রয়েছে। বর্তমান সরকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী দিনেও করবে। সরকার হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে চারটি ধর্মগ্রন্থ পাঠ করা হয়।
আজ শনিবার দুপুরে সিলেটে বিভাগের পুরোহিত-সেবাইত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অধীন ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) অধীনে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রকল্পের পরিচালক শিখা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আব্দুল হামিদ জমাদ্দার। অতিথি হিসেবে ছিলেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অশোক মাধব রায়, পি কে চৌধুরী ও সচিব কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেট সদর ও নগর এলাকার ২১টি মন্দিরে উন্নয়নের জন্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর জানামতে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে ধর্মের জন্য সরকারি দপ্তর থেকে খরচ হয়। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্যে মন্দির-মসজিদে ব্যক্তি উদ্যোগে দান করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, সারা দেশের ৪১ হাজার ২১৬ পুরোহিত-সেবাইতদের নেতৃত্বদানে সক্ষমতা বৃদ্ধি, নৈতিকতা ও সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করার জন্য প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার, হিন্দু আইন, পূজা পদ্ধতি এবং সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।