আরও দুজনের লাশ উদ্ধার, শিশুটির খোঁজে চলছে উদ্ধার অভিযান

নৌকাডুবির পর আজ সোমবার সকালে মেঘনা নদী থেকে আরও দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ দুটি ভৈরব নৌ থানায় আনা হয়ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার ঘটনায় আজ সোমবার সকালে আরও দুজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তাঁরা হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী বেলন চন্দ্র দে।

এ নিয়ে চার দিনে আটজনের লাশ উদ্ধার হলো। তবে এখনো নিখোঁজ আছে সোহেল রানার চার বছর বয়সী ছেলে রাইসুল ইসলাম।

এর আগে সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫), তাঁদের সাত বছর বয়সী মেয়ে ইভা বেগম, বেলন দের শ্যালকের স্ত্রী রুপা দে (২৬), সম্বন্ধীর মেয়ে আরাদ্ধা (১১), নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামের কলেজপড়ুয়া আনিকা বেগম ও ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার স্বপন মিয়ার মেয়ে সুর্বণা বেগমের (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

নৌ পুলিশ জানায়, গত শুক্রবারের ওই নৌ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ), ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে উদ্ধারকাজ চলছে। আজ সকাল সাতটার দিকে সোহেল রানা ও বেলন দের লাশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ভেসে ওঠে। পরে লাশ দুটি ভৈরব নৌ থানায় আনা হয়।
এদিকে বাল্কহেডের সুকানি ও ইঞ্জিনচালকের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানায় হওয়া মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এখনো অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। গত শনিবার দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ এনে মামলাটি করেন কনস্টেবল সোহেল রানার বাবা মো. আলীম।

ভৈরব নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান  বলেন, শিশু রাইসুল ইসলামের সন্ধান পাওয়া গেলে উদ্ধারকাজ শেষ করা যাবে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীতে পাশাপাশি দুটি রেল ও একটি সড়ক সেতু রয়েছে। তিনটি সেতুকে ঘিরে ভৈরব প্রান্তে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ঘাটে বেশ কয়েকটি পর্যটকবাহী নৌকা রয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ নৌকার মাধ্যমে মেঘনা নদীতে ঘুরে বেড়ান। বিশেষ করে শুক্রবার পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে যায়। গত শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি নৌকায় ১৫–১৮ জন আরোহী নিয়ে বের হয়। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়।

আরও পড়ুন