নদীতে ভেসে ওঠা লাশটি টর্নেডোতে নিখোঁজ জেলের বলে ধারণা, উদ্ধারে তৎপরতা

নিখোঁজ জেলে রুহুল গাজী
ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টর্নেডোর সময় নিখোঁজ হন জেলে রুহুল গাজী (৫৫)। এদিকে আজ শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার কালিন্দী নদীতে এক ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাঁদের দাবি, ভাসতে থাকা লাশটি জেলে রুহুল গাজীর। পরে বিএসএফ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ সকাল ১০টা থেকে বিজিবি, কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ডুবুরিরা লাশটি উদ্ধারে কাজ শুরু করেছেন।

নিখোঁজ রুহুল গাজী উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের রমজান আলী গাজীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাছ ধরতে নদীতে গিয়েছিলেন গাজী। এ সময় হঠাৎ টর্নেডো শুরু হলে নৌকাসহ রুহুল নদীতে তলিয়ে যান। ঘটনার পরপরই নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা সম্ভাব্য এলাকায় তল্লাশি করেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত রুহুলের কোনো সন্ধান মেলেনি। এর আগে টর্নোডোর সময় নিখোঁজ হওয়া আরও চারজনকে ভারতের শমসেরনগর এলাকার বিএসএফ রায়মঙ্গল নদী থেকে উদ্ধার করে গতকাল রাতেই কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শেখ আবদুর রহিমের কাছে হস্তান্তর করে।

আরও পড়ুন

কৈখালী ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ সকাল ১০টা থেকে তাঁরা কালিন্দী নদীতে তল্লাশি শুরু করেছেন। আজ সকাল নয়টার দিকে ভাটার সময় কালিন্দী নদীর ভারতীয় অংশের শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের চরে একটি লাশ পড়ে ছিল। লাশের ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি নিখোঁজ জেলে রুহুল গাজীর। তবে বিএসএফ সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানের আগেই জোয়ারে আবার লাশটি নদীতে তলিয়ে গেছে। ডুবুরি ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ১৪ থেকে ১৫ জনের একটি দল রুহুল গাজীর লাশটি উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, লাশ ভাসতে থাকার খবর স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কোস্টগার্ডসহ নৌ পুলিশের সদস্যরা রুহুল গাজীর লাশ উদ্ধারে কাজ করছেন। টর্নেডোর আঘাতে চার শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দুই ইউনিয়নে এক হাজার কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কিছু শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ও কৈখালী ইউনিয়নে আকস্মিকভাবে টর্নেডো আঘাত হানে। এতে দুই ইউনিয়নের কালিঞ্চি, পূর্ব কৈখালী, বোসখালী ও পশ্চিম কৈখালী গ্রামের চার শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। উপড়ে পড়ে গাছগাছালি।