সাংবাদিক গোলাম রব্বানিকে চেয়ারম্যানের হুমকি দেওয়ার অডিও ভাইরাল

মাহমুদুল আলম
ফাইল ছবি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রব্বানি ওরফে নাদিম হত্যার প্রধান আসামি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুর একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অডিওতে মাহমুদুলকে বলতে শোনা যায়, ‘সাংবাদিক নাদিমকে ঠিক করতে আমার এক মিনিটের বিষয়’। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অডিও ক্লিপটি ছড়িয়ে পড়ে।

অডিও ক্লিপটি ২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের। এতে মাহমুদুল আলমের বক্তব্য শোনা যায়। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘নাদিম সাংবাদিকেরে আমি মনে করব, এটার জন্য দায়-দায়িত্ব উপজেলা আওয়ামী লীগের। নাদিম সাংবাদিকরে ঠিক করতে-এক মিনিটের বিষয়।’

আরও পড়ুন

এ সময় সভায় উপস্থিত অনেককে হাতাতালি দিতে এবং ‘ঠিক, ঠিক’ বলতে শোনা যায়। বাবু আরও বলেন, ‘কিন্তু আমি বাবু যামু শাসন করতে, তহন যদি উপজেলা আওয়ামী লীগ হাউহাউ করে হাসে যে বাবু বিপদে পড়ছে পড়ুক।’ এরপর সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমের প্রসঙ্গ ছেড়ে অন্য বক্তব্য দিতে থাকেন।

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগের একটি সভায় মাহমুদুল আলম ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন। এটি উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি অভ্যন্তরীণ সভা ছিল। ওই সভায় মাহমুদুল আলম সাংবাদিক রব্বানিকে নিয়ে ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন। সভায় উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অডিও ক্লিপটি আমিও শুনেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যায়, ওই বক্তব্য মাহমুদুল আলমের। কিন্তু ওই সভায় আমি উপস্থিত ছিলাম না।’

রব্বানি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলার সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

১৪ জুন রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন জামালপুরের বকশীঞ্জের সাংবাদিক রব্বানি। পথে পাটহাটি এলাকায় মাহমুদুলের নির্দেশে ও নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও বেদম মারধর করা হয়।

হামলার সময় মাহমুদুলের ছেলে ফাহিম ফয়সাল রব্বানির মাথায় আঘাত করেছিলেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শী। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরের দিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন