সুনামগঞ্জে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বহিষ্কৃত বিএনপির আরও ৭ নেতা

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

দলীয় নির্দেশ না মেনে নির্বাচনে বিভিন্ন পদে প্রার্থী হওয়ায় সুনামগঞ্জের চারটি উপজেলায় আরও সাতজন নেতাকে দলীয় পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে দুই উপজেলার আরও ছয়জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তাঁদের কেউই নির্বাচনের মাঠ ছাড়েননি।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছে। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ পর্যায়ের পদ থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত নেতারা হলেন জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল হক আফিন্দি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও একই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুনুর রশিদ, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহন বাচ্চু, উপজেলা মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মদিনা আক্তার, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল কাশেম এবং ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

এর আগে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও একই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার, উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজিরুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ, উপজেলা যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া দিরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. গোলাপ মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হওয়ায় দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও একই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরীকে দলের পদবি ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এই নেতারা বহিষ্কারের পরও ভোটের মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

শাল্লা উপজেলার পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গনেন্দ্র চন্দ্র সরকার বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাঠে আছি। একবার চেয়ারম্যানও ছিলাম। তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আগ্রহে প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচন থেকে সরে গেলে তাঁরা কষ্ট পেতেন। তাই মাঠে আছি এবং আশা করি জয়ী হব।’