বাজি ধরে সাঁতরে দুধকুমার পাড়ি দিতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ৫০০ টাকা বাজি ধরে দুধকুমার নদ সাঁতরে পার হওয়ার সময় নিখোঁজ হয়েছিলেন বাবলু মিয়া (২২) নামের এক তরুণ। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দুধকুমার নদের সামাদের ঘাট এলাকা থেকে বাবলু মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

বাবলু মিয়া উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের মাওলানাপাড়ার আনিছ আলীর ছেলে। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ির চর এলাকার শহীদুলের ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন

পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস‍্য আবু সায়াদাত মো. বজলুর রহমান বলেন, আজ সকালে দুধকুমার নদের সামাদের ঘাট এলাকায় স্থানীয় লোকজন বাবলুর লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে।

স্থানীয় লোকজন ও বাবুলের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পাইকেরছড়া মাওলানাপাড়ার মোজাম্মেল হকের ছেলে হাসেম আলীর সঙ্গে তিলাই ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ির চর এলাকার মৃত হযরত আলীর মেয়ের বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে বরযাত্রী হিসেবে গিয়েছিলেন বাবলু মিয়া। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরযাত্রীরা নৌকায় বাড়ি ফিরছিলেন। বরযাত্রীদের সঙ্গে ৫০০ টাকার বাজিতে দুধকুমার নদ সাঁতরে পাড়ি দেওয়ার কথা জানান বাবলু মিয়া। পরক্ষণে কনকনে ঠান্ডায় তিনি মাঝনদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরাতে শুরু করেন। কিছু দূর সাঁতরে যাওয়ার পর প্রচণ্ড ঠান্ডা ও স্রোতের কারণে পানিতে তলিয়ে যান বাবলু। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও বাবলুর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরদিন ভূরুঙ্গামারী থানা–পুলিশ এবং নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস ও রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দিনভর যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালায়। নদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর কোনো সন্ধান না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এরপর আজ সকালে স্থানীয় লোকজন দুধকুমার নদে গোসল করতে গিয়ে বাবলুর লাশ দেখতে পেয়ে থানা–পুলিশকে জানান।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।