ঝিনাইদহে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি

সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে
ছবি: প্রথম আলো

ঝিনাইদহে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামে পক্ষ থেকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল মাবুদ, আজাদ রহমান, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসানসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজারে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেনের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় মামলা করার পর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা তাঁরা কঠোর কর্মসূচি দেবেন।

এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে বিপ্লব হোসেনসহ চারজনকে আসামি করে শুক্রবার থানায় মামলা করেছেন। মামলার পরপরই বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলমান আছে।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সাদ্দাম হোসেন বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়াগঞ্জ বাজারে পৌঁছালে ওই এলাকার বিপ্লব হোসেন ও ফিরোজ হোসেন নামের দুজন সাদ্দাম হোসেনের ওপর হামলা করেন। তাঁরা সাদ্দামকে বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে সাদ্দামের স্বজনেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ হামলার পর রাতেই আবার তাঁরা সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতেও হামলা চালান এবং হুমকি দেন।

আহত সাদ্দামের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, ২০২২ সালের প্রথম দিকে সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করেন গাড়াগঞ্জ এলাকার বিপ্লব হোসেন নামের এক বখাটে। পরে একই বছরের জুলাই মাসে গোয়েন্দা পুলিশ বিপ্লব হোসেনকে শনাক্ত করে আটক করে। পরে ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ ছিলেন বিপ্লব হোসেন। সেই শত্রুতার জেরেই গতকাল রাতে দলবল নিয়ে তিনি এ হামলা চালিয়েছেন।

আরও পড়ুন