চমেকে ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে জিডি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের এক ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক।

ইন্টার্ন চিকিৎসকের নাম মো. আকিল হায়দার জিদান। গত রোববার রাতে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে দায়িত্বরত অবস্থায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

ছাত্রলীগের অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন মো. ফয়েজ উল্ল্যাহ ও অভিজিৎ দাশ। এর মধ্যে অভিজিৎ দাশ এখন কলেজ থেকে বহিষ্কৃত। গত ফেব্রুয়ারিতে কলেজ ছাত্রাবাসে তিন ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে তাঁকে কলেজ থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ফয়েজ উল্যাহ ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি। তিনি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা থেকে এই পদে আসীন হন।

মারধরের ঘটনায় চিকিৎসক আকিল হায়দার পাঁচলাইশ থানায় জিডিটি করেন। হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়ার কথাও জিডিতে উল্লেখ করেন তিনি।

জিডিতে আকিল হায়দার উল্লেখ করেন, ‘ফয়েজ উল্ল্যাহ ও অভিজিৎ দাশ রোববার দিবাগত রাত একটার দিকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রি-অপারেটিভ রুমে এসে আমাকে তাঁদের এক রোগীকে দেখতে বলেন। সে সময় আমি অন্য একজন রোগীকে দেখায় ব্যস্ত থাকায় তাঁদের বলি কিছুক্ষণ পর তোমাদের রোগী দেখব। এতে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।’

জিডিতে আকিল হায়দার আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে অভিজিৎ দাশ আমার শার্টের কলার ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দেন। চড় থাপ্পড় মারেন। এ সময় তাঁরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। তা ছাড়া জুনিয়রদের দিয়ে মারধর করানো ও আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেন তাঁরা।’

এমন পরিস্থিতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন আকিল হায়দার। বিষয়টি তিনি কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালককেও অবহিত করেছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন।

এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসককে মারধরের বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। বিষয়টি মূলত কলেজ কর্তৃপক্ষের অধীনে। তার পরও আমরা দেখব।’

অভিযুক্ত মো. ফয়েজ উল্ল্যাহ ও অভিজিৎ দাশ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী বলে নিজেদের পরিচয় দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ফয়েজ উল্ল্যাহ বলেন, ‘সে (আকিল হায়দার) মিথ্যাচার করছে। হাতাহাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করে দেখে এর সত্যতা যাচাই করেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়েছে এটা।’