নিরাপদ আবাসনের দাবিতে শের–ই–বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। আজ বুধবার মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে
ছবি: প্রথম আলো

নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। তাঁরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, আজ বুধবার সকাল নয়টা থেকে কলেজের অধ্যক্ষসহ প্রশাসনিক ও শিক্ষা ভবনের ফটকগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা জানান, পুরোনো হোস্টেলগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা এবং ওই সব হোস্টেলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নতুন হোস্টেল না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসের ভেতরে নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে। তাঁরা বলছেন, পুরোনো হোস্টেল ভবনগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ, যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। তাঁরা এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

আবাসনসংকট থাকায় এ কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জরাজীর্ণ ভবনে থাকতে হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই সব শিক্ষার্থী একযোগে এ কর্মসূচি পালন করছেন।

কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তাহসিন ও সাগর হোসেন জানান, আবাসনসংকট থাকায় এ কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জরাজীর্ণ ভবনে থাকতে হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই সব শিক্ষার্থী একযোগে এ কর্মসূচি পালন করছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের জন্য তিনটি করে পৃথক ছয়টি হল রয়েছে। প্রতিটি হলের অবস্থাই জরাজীর্ণ। হলগুলোর ছাদের পলেস্তারা প্রতিনিয়তই খসে পড়ছে। এতে প্রায়ই শিক্ষার্থীরা আহত হচ্ছেন।

আবাসিক হলের শিক্ষার্থী মো. এহসান বলেন, ‘ছেলেদের তিনটি ছাত্রাবাসের মধ্যে হাবিবুর রহমান ছাত্রাবাসের অবস্থা খুবই খারাপ। গত রাতেও আমাদের একটি রুমে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে এক সহপাঠী অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। আমাদের একটাই দাবি, আমরা নিরাপদ হল চাই।’

ছাত্রী হলের বাসিন্দা লিসা আক্তার বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। নিরাপদ হল এখন আমাদের সময়ের দাবি।’
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, তিনি প্রশাসনিক বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তিনি আরও বলেন, এ বিষে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আপাতত হলগুলো দ্রুত সংস্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।