চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার শহিদুল আবার ৪ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা–রাজশাহী পথে চলাচলকারী এই যাত্রীবাহী বাসটিতে গত সোমবার দিবাগত রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার সামনেছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির মামলায় গ্রেপ্তার শহিদুল ইসলামকে আবারও চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে মির্জাপুর আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শহিদুলসহ তিনজনকে গত শুক্রবার ঢাকার সাভারের গেন্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার অপর দুজন মো. সবুজ ও শরিফুজ্জামান ওই দিনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) উপপরিদর্শক মো. আহসানুজ্জামান জানান, প্রথম দফা পাঁচ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিদুল ওরফে মুহিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ডাকাত চক্রের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার রিমান্ডে আনা এই মামলার অপর আসামি আলমগীর শেখের সামনে মুখোমুখি করে শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ ও সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তাই দ্বিতীয় দফা রিমান্ড চাওয়া হয়।

এই ঘটনায় গত সোমবার আলমগীর শেখ ও রাজিব শেখ নামক দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাঁদের গোয়েন্দা পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ডাকাতি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা লুটের সময় দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। ঘটনার তিন দিন পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন।