ভরা মৌসুমেও শীতকালীন সবজির দাম চড়া

তদারকি না থাকায় খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফা করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বাজারে প্রচুর শীতকালীন সবজির সরবরাহ রয়েছে। তবে দাম কমেনি। গত সোমবার রাতে বরিশালের চৌমাথা বাজারেছবি: প্রথম আলো

শীতের ভরা মৌসুমেও বরিশালের খুচরা বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। এতে সাধারণ ক্রেতারা বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। পাইকারি বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর প্রভাব নেই। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারি সংস্থার তদারকি না থাকায় খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফা করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহে বিটকপি ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। ফুলকপি গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১৮ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকায়। টমেটো গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। নতুন আলু গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৩০ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। বেগুন গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ২৫ টাকা থাকলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

পাইকারি সবজি বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা করে কমেছে।

তবে নগরের খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাবাজার, চৌমাথা, বটতলা, নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিটকপি প্রতি কেজি ৩০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চৌমাথা বাজারে সবজি কিনতে এসেছেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, পাইকারি আড়ত থেকে চৌমাথার দূরত্ব দুই কিলোমিটার। এতটুকু দূরত্বে সবজির দামে কেজিপ্রতি পার্থক্য হতে পারে ২-৪ টাকা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা কেজিতে কয়েক গুণ বেশি দাম নিচ্ছেন।

বাজারের ব্যবসায়ী বাদল সরদার বলেন, মোকাম থেকে সবজি কেনার পর খাজনা, পরিবহন ব্যয় ও শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়; দোকানভাড়াও রয়েছে। বিদ্যুতের জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। অনেক সময় সবজি নষ্ট হয়ে যায়। খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারি দরের তুলনা করে লাভ নেই।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন, কেউ অযথা সবজির মূল্য বৃদ্ধি করলে জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।