বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

বগুড়ায় হামলায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা নাহিদ আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আহমেদ (৩০) হত্যা মামলার আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে র‍্যাব সদর দপ্তরের (ইন্টেলিজেন্স উইং) সহযোগিতায় র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩-এর স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ধামাহার এলাকা থেকে মো. সিয়াম (২০) নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন।

সিয়াম বগুড়া শহরের মালগ্রাম কসাইপাড়ার মঞ্জু কসাইয়ের ছেলে এবং আলোচিত এ হত্যা মামলার ১০ নম্বর আসামি। গ্রেপ্তার সিয়ামকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তরের পর আজ মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে ৯ মে রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের মালগাম ডাবতলা এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নাহিদ হাসানকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নাহিদের বাবা ঝন্টু ব্যাপারী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪ থেকে ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামি করে মামলা করেন। নাহিদ হত্যার কারণ হিসেবে আসামিদের সঙ্গে ‘পূর্বশত্রুতা’র কথা উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছুদিন আগে মালগ্রাম শান্তিনগর এলাকার আদর্শ কলেজের পাশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমানের ভাটা থেকে আনা ইট ফেলতে গেলে আসামি রতন তাতে বাধা দেন। নাহিদ ট্রাক ছাড়াতে গেলে আসামিদের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ ছাড়া রেলওয়ে হকার্স মার্কেট নিয়ে রবিনের সঙ্গেও নাহিদের বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে কয়েক মাস আগে রতন মুঠোফোনে নাহিদকে হুমকি দিয়েছিলেন। এসব বিরোধের জেরে ৯ মে রাতে মালগ্রাম বেলতলা মসজিদসংলগ্ন এলাকায় নাহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা হয়।

র‍্যাব-১২-এর বগুড়া ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-৩-এর অধিনায়ক মীর মনির হোসেন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। পরে র‍্যাব সদর দপ্তরের (ইন্টেলিজেন্স উইং) সহযোগিতায় ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন