ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হত্যা করছে সরকার: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপি নেতা–কর্মীদের হত্যা করছে। তবে এভাবে গুলি করে হত্যা করে কখনোই কোনো দল ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
আজ সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে ‘পুলিশের গুলিতে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হওয়ার এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানির’ প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
পাকুন্দিয়ায় সংঘটিত ঘটনাকে অভাবনীয় ও নারকীয় উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারি দলের মাস্তান ও পুলিশের আতঙ্কে পাকুন্দিয়ায় বিএনপি নেতা–কর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকায় এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়েছে। ওদিকে নারায়ণগঞ্জে চায়নিজ রাইফেলের গুলি দিয়ে যুবদলকর্মী শাওনকে হত্যা করা হয়েছে। চায়নিজ রাইফেল একটি যুদ্ধাস্ত্র, এটা সাধারণ পুলিশের ব্যবহার করার কথা নয়। এসব অস্ত্র যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে নয়।
এই সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না দাবি করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, গণ–আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের অচিরেই পতন ঘটানো হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আমরা অনেক কর্মসূচি পালনের পরও সরকারের টনক নড়েনি। সরকার দাম বাড়িয়েই চলেছে।’
সরকারের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘লাশ অনেক ফেলেছেন। দরকার হলে আমরাও লাশ হব, কিন্তু এবার আর পাতানো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আমরা হতে দেব না।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় ফেরার পথে মির্জা আব্বাস, আবদুস সালামসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা পাকুন্দিয়ায় গুলিবিদ্ধ কয়েকজন নেতা–কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের খোঁজখবর নেন।