শৈলকুপায় রাতে গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণকারীকে শনাক্ত

ঝিনাইদহ জেলার মানচিত্র

মুঠোফোনের একটি ভিডিওতে থাকা হাতের সূত্র ধরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় রাতে গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণকারী ব্যক্তিকে শনাক্তের দাবি করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার একটি গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম জুলকার খাঁ (৩২)। তাঁর বাড়ি শৈলকুপা উপজেলায়। এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আসামি শনাক্তের দাবি জানান পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান। তাঁর দাবি, আসামি জুলকার খাঁ টাকা হাতিয়ে নিতে এবং ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি করে অন্য নারীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এসব অপকর্ম করেছেন।

স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, শৈলকুপার একটি গ্রামে রাতের আঁধারে জানালা দিয়ে মুঠোফোনে নারীদের ভিডিও ধারণ করতেন কেউ। ঈদুল ফিতরের রাতে ছবি তোলার সময় ওই ব্যক্তিকে দেখে ফেলেন স্থানীয় একজন। কৌশলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে গেলেও তাঁর মুঠোফোনটি ফেলে যান। ওই মুঠোফোনে গ্রামের বিভিন্ন বয়সী নারীদের ভিডিও পাওয়া যায়। মুঠোফোনটি ২৬ এপ্রিল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন গ্রামবাসী। ওই মুঠোফোনের একটি ভিডিওতে ভিডিও ধারণকারীর হাত দেখা যায়। সেই হাতের সূত্র ধরে ওই ব্যক্তিকে শনাক্তের দাবি করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান বলেন, মুঠোফোনটি পাওয়ার পর পুলিশের সাইবার অপরাধ দল তদন্ত শুরু করে। তারা প্রথমে মুঠোফোনের সিমের মালিক নারীকে শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মুঠোফোনটি তিনি কাকে দিয়েছিলেন, জানতে চাইলে তিনি একেক সময় একেকজনের নাম বলতে থাকেন। মুঠোফোনের ভিডিওতে একজনের হাতের ছবি পাওয়া যায়। ওই নারীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি সঠিক ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেন। তাঁর দেওয়া তথ্য ও হাত দেখে প্রকৃত আসামি শনাক্ত করে পুলিশ। আজ ভোরে জুলকার খাঁ নামের ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। একই সঙ্গে ওই নারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রামের এক বাসিন্দা বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।