বগুড়ায় ছুরিকাঘাতে দুই নারী হত্যা মামলায় আসামির জবানবন্দি, বিচার চেয়ে মানববন্ধন

বগুড়া শহরতলীর ইসলামপুর হরিগাড়ী এলাকায় বাড়িতে ঢুকে জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মানববন্ধন। শুক্রবার বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে ঢুকে এসএসসি পাস করা ছাত্রীকে জখম এবং তাঁর ভাবি ও দাদিকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি সৈকত আহমেদ (১৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক ফারুক আহমেদের কাছে এ জবানবন্দি দেন আসামি সৈকত।

আরও পড়ুন

বগুড়া আদালত পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই সৈকতকে বগুড়া শহর থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। তিনি শুক্রবার হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত উম্মে হাবিবার (২০) স্বামী ও লাইলী বেওয়ার (৬৫) নাতি পারভেজ হোসেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুলছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এদিকে স্কুলছাত্রীকে জখম এবং তার ভাবি ও দাদিকে কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার সৈকত আহমেদের ফাঁসির দাবিতে বগুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে শহরের সাতমাথায় এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর হরিগাড়ি মহল্লাবাসী। এতে শহরের জয়পুরপাড়া এলাকার লোকজনও সংহতি প্রকাশ করেন। তাঁরা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সৈকত আহমেদের ফাঁসি দাবি করেন। সমাবেশে বক্তব্য দেন শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, নিহত গৃহবধুর স্বজন ও জয়পুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা গোলাম রসুল ও এনামুল হক, নিহত বৃদ্ধার স্বজন আবদুস সালাম, মো. রসুল প্রমুখ।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটান সৈকত আহমেদ। সৈকত শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকার সোহেল উদ্দিনের ছেলে ও একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।