শ্রীপুরে মহাসড়কে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় চালক ও সহকারী গ্রেপ্তার
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নারী শ্রমিক চম্পা বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। আজ সোমবার মাওনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকওয়া পরিবহন নামে একটি মিনিবাসের চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বাসটিও জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার আয়নাপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৮) ও ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মাখল গ্রামের জয়নাল আবেদীন (২৮)। নজরুল ইসলাম জব্দ করা তাকওয়া মিনিবাসের চালক। অন্যজন চালকের সহকারী। মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কংকন কুমার আজ দুপুরে প্রথম আলোকে তাঁদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুরের এমসি বাজার এলাকায় চম্পা বেগমের মৃত্যু হয়। চম্পা বেগম ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চান্দুরা গ্রামের মো. সুরুজ আলীর মেয়ে। তিনি শ্রীপুরের বৈরাগীরচালা এলাকায় হ্যামস্ গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করতেন।
ঘটনার পর নিহত নারীর একজন স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী বলেছিলেন, তাকওয়া পরিবহনের মিনি বাসটি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ায় ওই নারী গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। তাঁরা দাবি করেছিলেন, ভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে চম্পা বেগমকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন চালকের সহকারী।
কিন্তু ঘটনার পরদিন শনিবার ওই নারীর ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি সড়ক পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় চম্পা বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয় হাইওয়ে পুলিশ।
মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি কংকন কুমার বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাস পুলিশের হেফাজতে আছে। এই ঘটনায় সব ধরনের আইনি কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে করছে পুলিশ।