ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছুরিকাঘাতে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ ওরফে ইকরাম মিয়ার (৩০) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইকরামের বাবা মাছুদ আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন। গতকাল বিকেলে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছে।
নিহত ইকরাম সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা শহরের গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাছুদ আহমেদের ছেলে। ইকরাম পরিবারের সঙ্গে জেলা শহরের ফরিদুল হুদা সড়কের একটি বাড়িতে থাকতেন।
ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তের নাম রায়হান (২৭)। ঘটনার পরপরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিদওয়ানের মুন্সেফপাড়ার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রায়হান ঢাকার মগবাজার এলাকার জিয়াউল হকের ছেলে এবং সম্পর্কে রিদওয়ানের মামাতো ভাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন একমাত্র আসামি রায়হান। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের ফরিদুল হুদা সড়কের নিজের বাসা থেকে বের হন জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ (৩০)। তিনি শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রিদওয়ান আনসারির বাসায় যান। সেখানে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইকরাম। পরে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে রায়হানকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহেরর টেংকেপাড়া জামে মসজিদে প্রথম এবং সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও ঈদগাহ মাঠে আসর নামাজের পর দ্বিতীয় জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, নোয়াগাঁও ইউপির চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে তেরকান্দা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।