যুবলীগে পদ না পেয়ে জনসমক্ষে ‘দুগ্ধস্নান’ করা ছানোয়ার এবার ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইলেন

‘রাজনীতি ছাড়তে’ দুধ দিয়ে গোসল করার পর ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইছেন ছানোয়ার হোসেন
ছবি:সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দুধ দিয়ে গোসল করে যুবলীগ ত্যাগের ঘোষণা দেওয়া ছানোয়ার হোসেন ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন। দলের নেতারা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি তাঁর ফেসবুক থেকে ভিডিও বার্তাটি পোস্ট করেছেন।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ছানোয়ার হোসেন ভিডিও বার্তাটি দেন। শিরোনামে লেখেন, ‘মানুষমাত্রই ভুল করে। ভুলের ঊর্ধ্বে কেউ না। আমাকে সবাই ক্ষমা করবেন।’

আরও পড়ুন

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার একটা ভিডিও গতকাল ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিওর জন্য আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে করজোড়ে মাফ চাই। আমি রাগের বশবর্তী হয়ে যে কথাগুলো বলেছি, আমি আমার কথাগুলো উঠিয়ে নিলাম। আমি রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি। আমার বাবা দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন, আমি তার সঙ্গে জড়িত।’

জনসমক্ষে দুধ দিয়ে গোসলের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রোববার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার খাটিয়ারহাট বাজারে
ছবি: সংগৃহীত

ছানোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘সভাপতি প্রার্থীর জন্য আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছে তোমারটা হয়ে যাবে। যারা গত নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে কাজ করছে, তারা এই পদটা পেয়ে গেছে। কাউন্সিলের ব্যাপারে আমি রাগে ধৈর্য ধারণ করতে পারি নাই। আমি সব আওয়ামী পরিবারের কাছে মাফ চাই। যুবলীগের ভাইদের কাছেও মাফ চাই।’

গত শনিবার আজগানা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে খাটিয়ার হাট বাজারের মুদিদোকানি ছানোয়ার হোসেনসহ তিনজন সভাপতি প্রার্থী হন। তবে তিনি কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গতকাল রোববার খাটিয়ার হাট বাজারে জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস ও দুধ দিয়ে গোসল করেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর মোটরসাইকেলে বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের নেতারা ওঠায় সেটিও তিনি দুধ দিয়ে ধুয়ে নেন। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ছানোয়ার হোসেন উপজেলার তেলিনা গ্রামের বাসিন্দা। মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন কি না, তা পরে সিদ্ধান্ত নেবেন। এখন ব্যবসা চালিয়ে যাবেন।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম বলেন, তিনি হয়তো বা কারও উসকানিতে দলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। যা ক্ষমার যোগ্য হতে পারে।