নেত্রকোনায় মোটরসাইকেল ছিনতাই করতেই চালককে খুন, আসামির জবানবন্দি
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় মোটরসাইকেল চালক সোহাগ চৌধুরী (৪৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সোহাগকে হত্যা করা হয়েছিল তাঁর মোটরসাইকেল ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে।
ওই হত্যাকাণ্ডে গতকাল শুক্রবার শরিফ মিয়া (৩০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বিকেলে নেত্রকোনার আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। আজ শনিবার সকালে নেত্রকোনার পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার শরিফ মিয়া মোহনগঞ্জ উপজেলার ভাটি সুয়াইর নয়াপাড়া গ্রামের স্বাধীন মিয়ার ছেলে। নিহত সোহাগ চৌধুরী খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দীপুর গ্রামের মৃত মতিউর রহমান চৌধুরীর ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে সোহাগ মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতের দিকে মদন থেকে যাত্রী নিয়ে মোহনগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে আটপাড়া উপজেলার বাউসা হাওরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আজিদা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বৃহস্পতিবার একটি হত্যা মামলা করেন। পরদিন সকালে মদনের জয়পাশা এলাকা থেকে শরিফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় সোহাগের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। শরিফ মিয়াকে একই দিন বিকেলে আদালতে হাজির করলে তিনি বিচারকের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুর রহমান বলেন, সোহাগের মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করতেই শরিফ যাত্রী পরিচয় দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আটপাড়ার বাউসা এলাকায় যেতে তিনি সোহাগ চৌধুরীর মোটরসাইকেলে ওঠেন। পথে হঠাৎ ছুরি বের করে সোহাগের বুকে আঘাত করেন তিনি। এ সময় সোহাগ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। পরে তাকে হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থলের পাশে একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।