প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হাফিজুরের নিয়োগ বাতিল করায় গোপালগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ

প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারি সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমানের নিয়োগ বাতিল হওয়ায় গোপালগঞ্জে মিষ্টি বিতরন করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চন্দ্রদীঘলিয়া বাসস্ট্যান্ডে
ছবি: প্রথম আলো

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস-২) গাজী হাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করায় গোপালগঞ্জে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থকেরা বুধবার বিকেলে এ খবর শোনার পর একটি আনন্দ সমাবেশও করেন।

আনন্দ সমাবেশে বক্তব্য দেন পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলী, চন্দ্রদীঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাবেদ আলী মোল্লা এবং আওয়ামী লীগ নেতা সবেদ আলী ভূঁইয়া।

আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওই কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘গাজী হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৮ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ পদে তাঁর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ ১ জুন ২০২৪ তারিখ হতে এতদ্দ্বারা বাতিল করা হলো।’

এ খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে চন্দ্রদীঘলিয়া আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। স্থানীয় লোকজন বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে গোপালগঞ্জ সদরে গাজী হাফিজুর রহমান টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান ভূঁইয়ার পক্ষে সরাসরি প্রচারণা চালান। ফলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলী পরাজিত হন। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় পরাজিত প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ওসিকুর ভূঁইয়া নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত ওসিকুর ভূঁইয়ার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৪০-৫০ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন

হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনকারীরা গাজী হাফিজুর রহমানকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

এ মামলায় দুজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। তিনি বলেন, এজাহারনামীয় একজন ও সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন