এদিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ভবনটি ঘুরে দেখেন। ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুউদ্দিন আহমেদ ইউএনওকে জানিয়েছেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। ইউএনও বলেন, ভবনটি শত বছরের পুরোনো। ভবনটির বিষয়ে সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত ও রাজউক মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে বিস্ফোরণের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা ভবনের ভেতর ও বাইরে থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির ক্রাইম সিন দলের একজন সদস্য বলেন, তারা ভবনের ভেতরে গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছেন।
ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ভবনটি ভেঙে ফেলতে মালিককে চিঠি দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, চিঠি দেওয়া হলেও ভবন মালিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি। এখন ভবনটি ভেঙে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিটি করপোরেশন থেকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ওই ভবনের মালিক ইলিয়াছ দেওয়ানের চাচাতো সালাউদ্দিন দেওয়ান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, রাজউক থেকে নতুন ভবন করতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে তারা পুরোনো ভবনটি ভাঙতে পারছেন না। অনুমতি দেওয়া হলে তারা পুরোনো ভবনটি ভেঙে নতুনভাবে করার উদ্যোগ নেবেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের পর ভবনটির আগুন নেভানো হয়েছে। ভবনের পেছনের অংশ ও সামনের দোতলার বারান্দা ধসে পড়েছে। ভবনে ফাটল ধরায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে শহরের নিতাইগঞ্জে একটি পুরোনো দোতলা ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে একজন নিহত হন এবং আহত হন ১০ জন। তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।