কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগমছবি: সংগৃহীত

এবার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসেনা বেগম। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন তিনি। এ নিয়ে গত দেড় মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদ থেকে ১১ শিক্ষক পদত্যাগ করলেন।

আগের শিক্ষকেরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে পদত্যাগের কথা বলেছিলেন। হাসেনা বেগম ব্যক্তিগত কারণে সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করেছেন। জানতে চাইলে হাসেনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন হচ্ছে। অনিয়মের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। শিক্ষকদের হেয় করা হচ্ছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের দপ্তরে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হয়। সেখানে প্রক্টরিয়াল বডি ভূমিকা রাখতে পারেনি। আরও বহু কারণ আছে। পদত্যাগপত্রে এগুলো না লিখে আমি ব্যক্তিগত কারণই বলেছি।’

আরও পড়ুন

পদত্যাগপত্র পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।’

এর আগে গত ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধির পদ থেকে পদত্যাগ করেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়মবহির্ভূত বিভিন্ন শর্তারোপ, সিন্ডিকেটের অ্যাজেন্ডা–বহির্ভূত অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ডিন নিয়োগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের পদোন্নতি না দিয়ে শর্তারোপ ও শিক্ষকদের সঙ্গে অনায্য আচরণের অভিযোগ তুলে ২০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউস টিউটর মো. জসিম উদ্দিন, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের হাউস টিউটর জয় চন্দ্র রাজবংশী, কাজী নজরুল ইসলাম হলের হাউস টিউটর অর্ণব বিশ্বাস ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের হাউস টিউটর মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান পদত্যাগ করেন।

আরও পড়ুন

অ্যাজেন্ডা–বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে ডিন নিয়োগের প্রতিবাদে ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শেখ মকছেদুর রহমান। উপাচার্যের দপ্তরে শিক্ষকদের হেনস্তার ঘটনায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান। শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা ও অশিক্ষকসুলভ আচরণের অভিযোগে ২০ ফেব্রুয়ারি হাউস টিউটরের পদ ছাড়েন পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুলছুম আক্তার। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের প্রতি অন্যায্য আচরণের অভিযোগে সহকারী প্রক্টরের পদ ছাড়েন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। এ ছাড়া অব্যবস্থাপনার অভিযোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের পদ ছাড়েন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার।