সিলেটে চলছে পুষ্টি-প্রথম আলো বিতর্ক উৎসব

আঞ্চলিক স্কুল বিতর্ক উৎসবে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে
ছবি: আনিস মাহমুদ

‘যোগ দাও যুক্তির মেলায়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সিলেটে শুরু হয়েছে পুষ্টি-প্রথম আলো আঞ্চলিক স্কুল বিতর্ক উৎসব। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের মিলনায়তনে উৎসবের সূচনা হয়। দিনব্যাপী উৎসবে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১০টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে।

বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেট মেজরটিলা স্কলার্স হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফয়জুল হক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট আবৃত্তিকার মোকাদ্দেস বাবুল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মো. ফয়জুল হক বলেন, ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে বিজ্ঞান ও যুক্তিনির্ভর প্রজন্মের প্রয়োজন। আগামীতে দেশ স্মার্টভাবে পরিচালিত হবে। এতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। রোবটের মাধ্যমে সব কাজকর্ম পরিচালিত হবে। এআই প্রযুক্তির যুগে প্রবেশের পর অনেক দক্ষ জনশক্তি বেকার হয়ে যাবে। এ জন্য এখন থেকেই এই এআই প্রযুক্তি যাতে পরিচালনা করতে সক্ষম হয়, সেভাবে নতুন প্রজন্মকে গড়ে উঠতে হবে।

বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে অতিথিরা। আজ শুক্রবার সকালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

বিতর্ক উৎসবের আয়োজনের জন্য প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফয়জুল হক আরও বলেন, ‘বিতর্ক করতে হলে জ্ঞান ও যুক্তির প্রয়োজন। জ্ঞান, বিদ্যা, যুক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিতর্কে অংশ নিতে হবে। জ্ঞান আহরণের জন্য বইয়ের কাছে যেতে হবে। অন্য একটি জ্ঞানের ভান্ডার হচ্ছে পত্রিকা। এ জন্য পত্রিকা পড়তে হবে। পত্রিকার মধ্যে প্রথম আলোর তথ্যসূত্র নির্ভরযোগ্য। এ ছাড়া প্রথম আলো বিজ্ঞান চিন্তা ও কিশোর আলো নামে সাময়িকী বের করে, যা থেকে বিভিন্ন জ্ঞান ও জিজ্ঞাসার উত্তর পাওয়া যায়।’

অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে মমতাজ বেগম বলেন, বিতর্কে যুক্তির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য অন্যের কাছে তুলে ধরতে হয়। যুক্তিতেই মুক্তি, এতেই সমাধান। বিতার্কিকদের ভালো নাগরিক হয়ে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন

প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান বলেন, পশুপাখি ও মানুষের মধ্যে বড় পার্থক্য হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে মানুষই একমাত্র প্রাণী যে জ্ঞান ও শিক্ষা তার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে যায়। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে রয়েছি। এ সময়ের মানুষ ডিজিটাল। আগামীতে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হব। এ জন্য আমাদের স্মার্ট হতে হবে যুক্তিতে, বুদ্ধিতে। এর জন্য সবার আগে দেশকে ভালোবাসতে হবে।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিলেট প্রথম আলো বন্ধুসভার সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ফারহানা হক।

আঞ্চলিক স্কুল বিতর্ক উৎসবে সিলেট ও সুনামগঞ্জের ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে
ছভি: প্রথম আলো

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ আল আসাদ মো. মাহমুদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোকাদ্দেস বাবুল, মু. আনোয়ার হোসেন, জাফর সাদেক, সাইদুর রহমান ভূঞা, হুমায়ুন কবির, প্রণবকান্তি দেব, সাকিব সাদমান, পান্না দাস, দীপ্ত দেব। বিতর্ক হচ্ছে সনাতন পদ্ধতিতে।

আজ বিকেলে বিতর্ক উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোহাম্মদ জহিরুল হক, প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান। সিলেট আঞ্চলিক বিতর্ক উৎসবে বিজয়ী দল ঢাকায় জাতীয় পর্বের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। উৎসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে প্রথম আলো বন্ধুসভা।

আরও পড়ুন