সাভার ও ধামরাইয়ে পরিবহনে তল্লাশি ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের আটকের অভিযোগ
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার সাভার উপজেলার আমিনবাজার ও ধামরাই উপজেলার ইসলামপুরে তল্লাশিচৌকি বসিয়েছে পুলিশ। এসব চৌকিতে তল্লাশি চালিয়ে নেতা-কর্মী ও বহনকারী যানবাহন আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহাসড়কে চেকপোস্ট বসানো আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ। দলীয় নেতা-কর্মীদের আটক করা হচ্ছে এ অভিযোগ সত্য নয়। সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কাউকে হয়তো কিছু সময়ের জন্য দাঁড় করিয়ে বা নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছ। সন্তোষজনক উত্তর দেওয়ার পর তারা চলে যাচ্ছেন।’
আজ বুধবার সকাল থেকে আমিনবাজার ২৫ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে ঢাকাগামী বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করে সাভার মডেল থানার পুলিশ। এ ছাড়া ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ধামরাই থানার পুলিশ বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে সমাবেশে অংশ নিতে ঢাকার উদ্দেশে যেতে ইচ্ছুক নেতা-কর্মীদের বহনকারী গাড়ি আটকে দেয়।
বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, সকাল নয়টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আতাউর রহমান আতাসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। আতাউর রহমানের সঙ্গে থাকা বিএনপির কর্মী ওসমান গণি প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি মাইক্রোবাসে করে আমরা বেশ কয়েকজন ঢাকার দিকে যাচ্ছিলাম। আমিনবাজারে চেকপোস্টে গাড়ি আটকিয়ে আতা ভাইসহ চারজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। অযথাই আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
ধামরাইয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস জব্দ করার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস উদ্দেশ্যমূলকভাবে আটক করা হয়েছে এটি সত্য নয়। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে যদি কোনো গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকে সেগুলো আটক করা হয়ে থাকতে পারে।
এ ছাড়া বেলা ১১টার দিকে ধামরাইয়ের ইসলামপুরে মানিকগঞ্জ ও সাটুরিয়া থেকে সমাবেশে অংশ নেওয়ার উদ্দেশে যাওয়া ১৫টি বাস আটকে দিয়েছে পুলিশ। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খানের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমাবেশে অংশ নিতে আমাদের নেতা-কর্মীদের বহনকারী ১৫টি বাস আটকে দিয়েছে পুলিশ। প্রতিটি বাসে ৪০ থেকে ৫০ জন ছিল। তাঁরা কেউ এখনো ফেরেনি। পুলিশের এ হয়রানির তীব্র নিন্দা জানাই।’