চট্টগ্রামে আধুনিক চিকিৎসায় বন্ধ্যত্ব দূর করে সন্তান ধারণে সক্ষম হলেন ১৪৪ নারী

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি ও ইনফার্টিলিটি ইউনিটের চিকিৎসকদের সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। গতকাল দুপুরে চমেক হাসপাতালে
ছবি সংগৃহীত

বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভুগতে থাকা ১৪৪ নারী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে সন্তান ধারণে সক্ষম হয়েছেন। রিপ্রোডাক্টিভ অ্যান্ডোক্রাইনোলজি  ও ইনফার্টিলিটি ইউনিটের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চিকিৎসায় তাঁরা সন্তান ধারণে সফল হন। এই ইউনিটের অধীন গত আড়াই বছরে ৪ হাজার ১২ নারী চিকিৎসা নেন।

বন্ধ্যত্ব সমস্যা দূরীকরণে চমেকের প্রসূতি বিভাগে গতকাল বুধবার থেকে আরও আধুনিক আইইউআই (ইনট্রা ইউটেরাইন ইনসামিনেশন) প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এতে এই বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

নিঃসন্তান দম্পতিদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইনফার্টিলিটি ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রাথমিকভাবে আউটডোর সেবা, আলট্রাসনোগ্রাফি (টিভিএস), স্যালাইন ইনফিউশন সনোগ্রাফি (এসআইএস), ল্যাপারোস্ককপি, হিস্টারোস্কপি কার্যক্রম শুরু হয়। বন্ধ্যত্ব রোগবিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা বেগমের তত্ত্বাবধানে এই কার্যক্রম চলে। তিনি বলেন, আড়াই বছরে ১৪৪ নারী এখানে চিকিৎসা নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। এই ইউনিটের জন্য এটি একটি বড় সাফল্য। আইইউআই প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় ইউনিটের সক্ষমতা এখন আরও বেড়েছে।

গতকাল আইইউআই পদ্ধতি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান। আইইউআই পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে চমেক হাসপাতালে ইনফার্টিলিটি চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রসূতি বিভাগের প্রধান ও চমেক অধ্যক্ষ সাহেনা আকতার প্রথম আলোকে বলেন, আর্টিফিশিয়াল রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজি (এআরটি) অর্থাৎ আইভিএফের পূর্ববর্তী ধাপ আইইউআই প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির ব্যবহারে বন্ধ্যত্ব সমস্যার সমাধান আরও সহজ হবে। এর পরের প্রযুক্তি হচ্ছে আইভিএফ পদ্ধতি। ভবিষ্যতে আধুনিক আইভিএফ পদ্ধতিও চালু করা হবে।