বিকেল চারটা থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের ভিড়ে সমাবেশস্থল ভরে গেছে। রোববার বিকেলে রাজশাহী নগরে লালন শাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বগুড়া থেকে শুরু হওয়া ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি শেষ হবে রাজশাহীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে। ইতিমধ্যে নগরের পাঠানপাড়া লালন শাহ মুক্তমঞ্চের উত্তর পাশের সড়কে দুটি ট্রাকে মঞ্চ প্রস্তুত করেছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল।

আজ রোববার বেলা তিনটার দিকে মঞ্চে ব্যানার সাঁটানো হয়। পরে মাইকের শব্দ পরীক্ষা করা হয়। বিকেল চারটা থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতা–কর্মীদের আগমনে সমাবেশস্থল ভরে গেছে। বিএনপির নেতারা জানান, বেলা তিনটা নাগাদ রোডমার্চ নওগাঁয় এসে পৌঁছায়। আরও কয়েকটি পথসভার পর রাজশাহীতে আসবে।

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগ ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ভোট চুরির পাঁয়তারা করছে: মির্জা ফখরুল

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহরতলির এরুলিয়া বাজারে সমাবেশের মাধ্যমে ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচি শুরু হয়। রাজশাহীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শেষ হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে আরও বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু), কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু) প্রমুখ।

রোডমার্চ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা দুইটার দিকে নগরের মালোপাড়ায় বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আয়োজক সংগঠন। সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার রোডমার্চ পর্যায়ক্রমে গাবতলী, সান্তাহার, নওগাঁর নওহাটা মোড়, মান্দা ফেরিঘাট ও কেশরহাটে পথসভা করে রাজশাহী নগরের লালন শাহ মুক্তমঞ্চ-সংলগ্ন সড়কে সমাবেশ করবে। সমাবেশে রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নেতা-কর্মীরা যোগ দেবেন।

রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতা–কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত দাবি করেছিলেন, বগুড়া থেকে প্রায় ১০ হাজার মোটরসাইকেলে নেতা-কর্মীরা আসবেন। এ ছাড়া প্রায় ৪০০ মাইক্রোবাস ও ট্রাকে নেতা-কর্মীরা আসবেন। তিনি বলেন, রোডমার্চ কর্মসূচির বিষয়ে মহানগর পুলিশের সঙ্গেও স্থানীয় নেতা-কর্মীদের কথা হয়েছে। পুলিশ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শহরের ভেতরে শুধু মোটরসাইকেল ঢুকবে। অন্য যানবাহনগুলো শহরের বাইরে থাকবে। নেতা-কর্মীরা কিছুটা হেঁটে সমাবেশস্থলে আসবেন।

রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, রোডমার্চ নওগাঁ পর্যন্ত এসেছে। নওগাঁয় কয়েকটি পথসভা শেষে রাজশাহীতে আসবে। এখানে আসতে বিকেল হয়ে যাবে। সমাবেশের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ। বাইরের নেতা-কর্মীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসাসহ পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বেলা তিনটা পর্যন্ত রাজশাহীতে পুলিশ এখনো কোনো বাধা দেয়নি।

আরও পড়ুন

ভোটের অধিকার রক্ষার এই যুদ্ধে হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ

মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, চারটার মধ্যে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসা শুরু করেন। তারুণ্যের এই কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের ঢল নামবে।

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. জামিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।