টঙ্গীতে শ্রমিকনেতা শহিদুল হত্যা মামলায় এজাহাভুক্ত আসামি হানিফ গ্রেপ্তার

গাজীপুরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীতে শ্রমিকনেতা শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ছয় নম্বর আসামি মো. হানিফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিল্প পুলিশের একটি সূত্র আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে এ ব্যাপারে এখনই বিস্তারিত জানাননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শহিদুলসহ তিন শ্রমিকনেতার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেন ‘হানিফ ম্যানেজার’ নামে পরিচিত মো. হানিফ। তিনি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী কামরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ। তাঁর বাড়ি টঙ্গীর গুটিয়া এলাকায়। হানিফ ও কামরুল সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই। গ্রেপ্তারের পর রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

শহিদুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি। গত ২৫ জুন টঙ্গীর সাতাই শ বাগানবাড়ি এলাকার ‘প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড’ কারখানায় শ্রমিকদের পাওনা টাকা আদায়ে কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় ২৬ জুন টঙ্গী পশ্চিম থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কল্পনা আক্তার। এরপর ওই দিনই মাজাহারুল নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশ। মাজাহারুল বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের টঙ্গী পশ্চিম থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মামলাটির তদন্তভার হস্তান্তর করা হয় গাজীপুর জেলা শিল্প পুলিশকে। এর মধ্যেই দ্বিতীয় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় হানিফকে।

মামলার বাদী কল্পনা আক্তারের অভিযোগ ছিল, ওই হামলাকারীরা মালিকপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসী। তাঁরা শ্রমিকনেতা পরিচয় দিয়ে হোক, গুন্ডা পরিচয় দিয়ে হোক, যা-ই হোক না কেন, মালিকপক্ষের হয়ে হামলা চালিয়েছেন। আর স্থানীয় ‘ভূমিদস্যু’ কামরুলের নির্দেশে সে হামলায় নেতৃত্ব দেন তাঁরই ম্যানেজার হানিফ। তবে মামলার এজাহারে কামরুলের নাম নেই। তা ছাড়া কামরুলও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

আরও পড়ুন

গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমরান আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা হানিফকে গ্রেপ্তার করে ইতিমধ্যে আদালতে পাঠিয়েছি। তাঁর রিমান্ড চাওয়া হবে। আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’

আরও পড়ুন