উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা

কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে মোহাম্মদ আইয়ুব (৩৫) নামের এক রোহিঙ্গা মাঝিকে (রোহিঙ্গা নেতা) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ওই আশ্রয়শিবিরের এইচ-৫৬ ব্লকের কোডেক স্কুলের সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

আরও পড়ুন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশ্রয়শিবিরের একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, নিহত মোহাম্মদ আইয়ুব আট-নয় মাস আগে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কর্মী ছিলেন। আরসা ছেড়ে তিনি মিয়ানমারের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) পক্ষে কাজ করায় ক্ষুব্ধ হয় আরসা সন্ত্রাসীরা। এর জের ধরে মোহাম্মদ আইয়ুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আরসা সন্ত্রাসীরা। এতে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

গত আট মাসে আশ্রয়শিবিরগুলোতে ৫৪টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬৪ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহত রোহিঙ্গা মোহাম্মদ আইয়ুব বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের সাবমাঝির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আইয়ুব আরসাবিরোধী ছিলেন। আজ বিকেল পাঁচটার দিকে আশ্রয়শিবিরের একটি বাজার থেকে নিজের ঘরে ফেরার পথে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হঠাৎ হামলা চালায়। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আইয়ুবকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আইয়ুবের মৃত্যু হয়েছে। সন্ধ্যায় লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আরও পড়ুন

পুলিশ জানায়, এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৬) আরসা ও আরএসও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ ঘটে। এতে ক্যাম্প-২ পশ্চিম ডি-৪ ব্লকের গফুর আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ (১৭) ও ক্যাম্প-৭ সি-৬ ব্লকের আহমেদ হোসেনের ছেলে সামসুল আলম (২৩) নিহত হন।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্যমতে, গত আট মাসে আশ্রয়শিবিরগুলোতে ৫৪টি সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬৪ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন