চাঁপাইনবাবগঞ্জে পত্রিকা কার্যালয়ে ককটেল হামলার মামলার দেড় মাস পর তদন্ত শুরু

গত ২৯ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় দৈনিক ‘চাঁপাই চিত্র’ পত্রিকা কার্যালয়ের ছাদে ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় ‘দৈনিক চাঁপাই চিত্র’ কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ঘটনার দেড় মাস পর আজ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডির চাঁপাইনবাবগঞ্জ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত জর্দার কৌটার বিচ্ছিন্ন অংশসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আফজাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাঁপাই চিত্র কার্যালয়ে ককটেল হামলার মামলাটি অধিকতর তদন্তের স্বার্থে সিআইডিকে মামলার যাবতীয় নথি বুঝিয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা–পুলিশ। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আমরা মামলার তদন্তকাজ শুরু করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সিআইডির তদন্ত দল।’

দৈনিক চাঁপাই চিত্র পত্রিকার সম্পাদক কামাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৭ অক্টোবর রাতে মদ্যপ অবস্থায় পৌর কৃষক লীগের তৎকালীন সভাপতি মেসবাহুল হক দলবল নিয়ে তাঁর পত্রিকা কার্যালয়ে এসে চড়াও হন। তাঁকে না পেয়ে গালিগালাজ করে চলে যান। পরে মুঠোফোনে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমান এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ জামান ওরফে আনন্দের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় তাঁকে শাসান মেসবাহুল হক। একপর্যায়ে পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক ফারুক আহমেদ চৌধুরীকে মারধর ও পত্রিকা কার্যালয়ে হামলার হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় ২৮ অক্টোবর রাতে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

আরও পড়ুন

কামাল উদ্দীন আরও বলেন, এরপর ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে তাঁদের পত্রিকার কার্যালয়ে ককটেল হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন তিনি। পরে পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন স্থানীয় সংবাদিকেরা। মামলার পর এক মাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এর প্রতিবাদ ও দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৫ ডিসেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকেরা।

পত্রিকা কার্যালয়ে গিয়ে শাসানোর বিষয়টি স্বীকার করে মেসবাহুল হক সে সময় প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি সম্পাদকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। তবে পত্রিকা অফিসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আমার কোনো যোগসূত্র নেই। এমনকি আমার কোনো অনুসারী যদি এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তার দায় আমি নিতে চাই।’