বগুড়ায় তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, খোলা রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বগুড়ায় আজ রোববার সকালে তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চললেও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে সাতসকালে বিদ্যালয়ে আসতে দুর্ভোগে পেড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার করার কথা বলে হয়েছে। আজ সকাল নয়টায় জেলা আবহাওয়া কার্যালয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বগুড়া আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা আশিকুর ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৯টায় জেলায় ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় প্রাথমিক স্তরের ১ হাজার ৬০১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামলে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা আছে। আজকে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও জেলার প্রাথমিক স্তরের বিদ্যালয়ে পাঠদান চলবে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হজরত আলী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও বগুড়ায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।
মো. হজরত আলী আরও বলেন, জেলায় ৪৪৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৩০৭টি মাদ্রাসা, ৩৩টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ আছে। এর মধ্যে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাতি শাখা চালু আছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই বগুড়ায় হিমশীতল আবহাওয়ায় ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছিল। তবু বিদ্যালয় বন্ধের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ রোববার সকালে প্রভাতি শাখার শিক্ষার্থীদের হিমশীতল কনকনে শীতের মধ্যেই সাতসকালে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হয়েছে। তীব্র শীতের মধ্যে শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় কষ্ট পোহাতে হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বগুড়া জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল, পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়সহ শহরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সকাল আটটায় প্রভাতি শাখার পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা না করায় প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হয়েছে।
জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মুস্তফী প্রথম আলোকে বলেন, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এলেও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা আসেনি। তীব্র শীতের মধ্যেই প্রভাতি শাখার শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। তবে শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি গড়ে ৪০ শতাংশ কমেছে।