উন্নয়নের নামে দেশে এখন দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের দুর্নীতিবাজ লুটেরা ও তাঁবেদার শক্তির কাছে দেশের মানুষ আজ জিম্মি। উন্নয়নের নামে দেশে এখন দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে। সরকার দুঃশাসনকে দীর্ঘ করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অত্যন্ত নির্লজ্জভাবে পার্শ্ববর্তী দেশের মনোরঞ্জন করে যাচ্ছে এবং দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে একের পর এক নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নির্বাচন কমিশন বাতিল, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নগরের সদর রোডে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল জেলা শাখা।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের দোহাই দিয়ে দেশের মানুষের সব নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ আজ ভোটাধিকার, ভাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাঁরা স্বাধীনভাবে নির্ভয়ে কথা বলতে পারেন না। হামলা-মামলার ভয়ে সরকারের স্বৈরাচারী ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এমনকি নিজের ভোটটি পর্যন্ত এখন নিজে দিতে পারছেন না।
চরমোনাই পীর বলেন, নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে পণ্যের দাম সবচেয়ে বেশি। সবকিছুর দাম কমার পরিবর্তে ক্রমেই বাড়ছে। দলীয় সিন্ডিকেটের হাতে গোটা দেশ ও দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। দলীয় লুটেরাদের সুবিধা দিতে ইচ্ছা করেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে না সরকার।
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে, জুলুম-নিষ্পেষণের কবল থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে হবে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি বলেন, দেশের সব শান্তিকামী নির্যাতিত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের বরিশাল জেলার সভাপতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়রের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম। সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ওবায়দুর রহমান, কেন্দ্রীয় মহিলা ও পরিবারকল্যাণ সম্পাদক নেছার উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।