নবাবগঞ্জে হামলার ঘটনাটি ‘বিচ্ছিন্ন’, সালমান এফ রহমানের গাড়িবহরে নয়

হামলায় আহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসুদ হাসান ও ইউনিয়ন কৃষক লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের গাড়িবহরে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে এ দাবি করেন নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান।

বিষয়টির বিস্তারিত জানিয়ে আরিফুর বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের মারধরের ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সালমান এফ রহমানের গাড়িবহরে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পূর্বশত্রুতা ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি জানতে পেরে দলের পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।

আরিফুর আরও বলেন, ‘তাৎক্ষণিক দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাঁদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। যাঁরা মারধরের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন। তাঁরা আমাদের দলীয় কর্মকাণ্ডে কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না।’

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশফাকুর রহমান বলেন, মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আজ সকালে আসাদ কাজী (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ।

গতকাল বুধবার নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান। বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-নবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাঠানকান্দা এলাকার ভাইবোন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে পাকা সড়ক এলাকায় তাঁর গাড়িবহরের পেছনে তাঁর কয়েকজন অনুসারীকে মারধর করে কয়েকজন যুবক।

এ সময় তিনজন আহত হন। আহত তিনজন হলেন কৈলাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন (৪০), একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাসুদ হাসান (৩৫) ও ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৩২)।

আহত ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা পাঠানকান্দা এলাকার ভাইবোন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে পাকা সড়কে পৌঁছাতেই স্থানীয় আসাম কাজী, মো. বাবু, মো. হৃদয়, মো. রবিনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন ব্যক্তি পথরোধ করেন। আহত মুরাদ বলেন, তাঁর শার্টের কলার ধরে আসাম কাজী মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি ও হাতুড়ি, রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। এ সময় মাসুদ হাসান ও দেলোয়ার এগিয়ে এলে তাঁদেরও হাতুড়ি ও রড দিয়ে আঘাত করা হয়। হামলায় দেলোয়ারের বাঁ পাশের চোখে রক্তজমাট হয়েছে। ক্ষীণ দৃষ্টিসম্পন্ন মাসুদকেও ছাড় দেওয়া হয়নি।