দুদকের মামলায় আরডিএর প্রকৌশলী সস্ত্রীক কারাগারে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রী নিশাদ তামান্নাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১ ও ২ জুন কামরুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আরডিএর সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে ২০১৭ সালে দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে। শেখ কামরুজ্জামানকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। একাধিকবার তাঁকে দুদক কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেন। এ ছাড়া অসংগতিপূর্ণভাবে তিনি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি।
দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে শেখ কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন দেওয়া হয়। মামলার তদন্তে তাঁর ১ কোটি ৬ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পায় দুদক। এদিকে কামরুজ্জামানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার সময় ৫৩ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়। তবে তদন্তে ৬০ লাখ ৬২ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদকের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বলেন, কামরুজ্জামান ও তাঁর স্ত্রী নিশাদ তামান্না দুজনই অভিযোগপত্র জমা হওয়া পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। আজ দুদক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলাটি এখন বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।