বান্দরবান জেলার মানচিত্র

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কেএনএফের এক সদস্যকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আজ সোমবার সকালে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।

আহত কেএনএফ সদস্যের নাম বয়রাম লিয়ান বম (২৫)। তিনি উপজেলার বেথেলপাড়ার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রুমা বাজার ও আশপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার উদ্দেশ্যে গতকাল রোববার রাতে কেএনএফের কয়েকজন সশস্ত্র সদস্য উপজেলা সদরের জায়নপাড়ায় আশ্রয় নেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সকালে সেখানে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কেএনএফ সদস্য বয়রাম লিয়ান বমকে পাওয়া যায়। তবে অন্যরা পালিয়ে যান। আহত বয়রাম লিয়ানকে প্রথমে রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে বান্দরবান সদর হাসপাতাল থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বামং মারমা বলেন, বয়রাম লিয়ানের ঊরুতে ও পেটে গুলি লেগেছে। তবে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।

আরও পড়ুন

বান্দরবানে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কারা এই কেএনএফ

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহ আলম বলেন, কেএনএফ সদস্যদের চাঁদাবাজির তথ্য জানতে পেরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালান। এ সময় কেএনএফ সদস্যরা গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির ঘটনার পর আহত অবস্থায় বয়রাম লিয়ান বমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে বয়রাম লিয়ান পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।

আরও পড়ুন

সরাসরি সংলাপে বসতে সম্মত হয়েছেন কেএনএফ নেতারা

থানা-পুলিশ সূত্র আরও জানায়, পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ গত বছরের মাঝামাঝিতে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি এবং রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের দুর্গম এলাকায় তৎপরতা শুরু করে। দুর্গম পাহাড়ে সংগঠনটির গোপন আস্তানায় সমতলের জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে কেএনএফের আস্তানা থেকে সংগঠনের ১৭ সদস্য এবং ৩৮ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়—অর্থের বিনিময়ে কেএনএফ শারক্কীয়ার জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিত।