বরিশাল মেডিকেল কলেজে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার চেয়ে মানববন্ধন

সাংবাদিকদের ওপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের হামলার বিচার চেয়ে মানববন্ধন। আজ দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে
ছবি: প্রথম আলো

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে র‌্যাগিংয়ের শিকার দুই ছাত্রীর তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর কয়েকজন শিক্ষকের হামলার ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের (জেইউবি) ব্যানারে আজ বুধবার দুপুরে নগরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সাংবাদিকনেতারা সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বপালনকালে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান।

আরও পড়ুন

জেইউবি সভাপতি স্বপন খন্দকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা।

বক্তারা বলেন, যে ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, তাতে মেডিকেল কলেজের কতিপয় শিক্ষকের যে বেপরোয়া, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দেখা গেছে, তা মোটেই শিক্ষকসুলভ নয়।

সমাবেশে স্বপন খন্দকার বলেন, ‘২৭ আগস্ট দায়িত্বপালনকালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে সাত সাংবাদিকের ওপর হামলা চালান কয়েকজন শিক্ষক। আমরা দেখেছি, ঘটনার পর কলেজের অধ্যক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে দায়সারাভাবে ঘটনাটির সমাধান করেছেন। কিন্তু আমরা মনে করি, দুই ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই সাংবাদিকদের ওপর এই হামলা হয়েছে। এই হামলার যে ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে, তাতে মেডিকেল কলেজের কতিপয় শিক্ষকের যে বেপরোয়া, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ দেখা গেছে, তা মোটেই শিক্ষকসুলভ নয়। শিক্ষকদের কাছ থেকে এটা কাম্য হতে পারে না। তাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। তদন্ত করে যাঁরা হামলা চালিয়েছেন, তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকেরা দাবির সমর্থনে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।’

২৩ আগস্ট রাতে ছাত্রীহলের ৬০৬ নম্বর কক্ষে দুই ছাত্রীকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। হলে অবস্থান করা ডেন্টাল সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফাহমিদা রওশন ওরফে প্রভা ও এমবিবিএস ৫০তম ব্যাচের নীলিমা হোসেন ওরফে জুঁইয়ের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। তাঁরা ছাত্রীদের সামনে নিজেদের ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। একই সঙ্গে হলের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কলেজ প্রশাসনের করা কমিটির নেতা তাঁরা।

২৭ আগস্ট দুপুরে র‌্যাগিংয়ের বিষয়টি নিয়ে মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের বক্তব্য শোনেন। এ সময় বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হয়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী ও ছাত্রীর মায়ের বক্তব্য নিতে যান। তখন কয়েকজন শিক্ষক সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করেন। এ সময় চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।