ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু

বজ্রপাত
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও আখাউড়া উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে এক শিশুসহ পাঁচজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সময়ে দুটি উপজেলার পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের টেকানগর গ্রামে কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আবদুর রাজ্জাক মিয়া (৩৫) ঘটনাস্থলের মারা যান। তিনি সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের মৃত জোয়দ আলীর ছেলে। বিকেল চারটার দিকে কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা গেছেন কৃষক শাসুল হুদা (৫৯)। তিনি নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের গোকর্ণ গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে।

আরও পড়ুন

একই সময়ে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলা করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয় জাকিয়া বেগম (৮) নামের এক শিশু। কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়। সে ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের শেখ মো. আলমগীর আনছারীর মেয়ে। শিশুটি কচুয়া গ্রামে চাচার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।
নাসিরনগরে বজ্রপাতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে গুরুতর আহত হালিমা বেগমকে (৩৮) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর কণ্ঠনালি দগ্ধ হয়েছে। বজ্রপাতের কারণে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় শুধু উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিহত ও আহতদের পরিবারে অর্থসহায়তা প্রদান করা হবে।

একই দিন বিকেলে বজ্রপাতে আখাউড়া উপজেলায় দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া (৬০) ও বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ (২২)। এ ছাড়া বনগজ গ্রামে বজ্রপাতে দুটি গরু মারা গেছে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। মৃত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।