মুন্সিগঞ্জে নৌকার সমর্থককে হত্যার ঘটনায় মামলা, বিদেশে পালানোর সময় আটক ১

আটক
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ডালিম সরকারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর ১৩ জনকে আসামি করে নিহত ব্যক্তির মা জয়তুন নেসা মামলাটি করেন। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক ব্যক্তির নাম শিপন হোসেন পাটোয়ারী। তিনি মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আসনটির কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারী রিপন হোসেন পাটোয়ারীর ছোট ভাই।

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-গজারিয়া সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ১২টার পর ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন ডালিমের মা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিপন চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।

আরও পড়ুন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডালিম পাশের গ্রাম বেহেরকান্দি থেকে মুন্সিকান্দিতে নিজেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ডালিম মোল্লাবাড়ি এলে কাঁচি প্রতীকের সমর্থক ইকরাম, পলাশ, রতন, মরজু, নাসিরসহ ১০ জনের একটি দল সেখানে ডালিমকে লক্ষ্য করে শটগান দিয়ে গুলি চালান। ঘটনাস্থল এলাকার কেউ কেউ বলছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেনের ছোট ভাই শিপন হোসেন ছিলেন। পরে গুলিবিদ্ধ ডালিমকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল হয়ে ঢাকায় নেওয়া হয়। রাতেই সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। গতকাল রাতে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিহত ব্যক্তির গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। জানাজা শেষে মুন্সিকান্দি সামাজিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক। মৃণাল কান্তি আসনটিতে পরপর দুবার সংসদ সদস্য ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। তাঁর বাবা মো. মহিউদ্দিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

পরিবার জানায়, ডালিমের দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে। তিনি গ্রিসে থাকতেন। পাঁচ বছর আগে দেশে ফেরেন। পরে পারিবারিক ব্যবসায় (গবাদিপশুর খাবার বিক্রি) যুক্ত হন। ডালিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নির্বাচনী বিরোধ নেই বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন নিহত ডালিমের বড় বোন রুখসানা বেগম। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত যে কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি, তাঁদের দু-তিনজনের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা রয়েছে আমাদের।’