আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে বক্তব্য দিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নোটিশ
সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলামের কাছে জবাব চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে তাঁকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীর উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই নোটিশ দেন। বিকেলে যোগাযোগ করা হলে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নির্বাচনী প্রচারণাবিষয়ক প্রকাশিত এক সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, ‘প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে “এবার নৌকার পক্ষে ভোট চাইলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার” শিরোনামে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায় আপনি নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। তবে সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ২২(১) অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।’
রিটার্নিং কর্মকর্তার নোটিশে আরও বলেন, ‘প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীর উপস্থিত হয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করতে হবে।’
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙে গতকাল শনিবার বিকেলে নগরের পূর্ব মীরাবাজার এলাকায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেজিস্ট্রার সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটিতে ইভিএমে ভোট হবে। ২৩ মে সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৫ মে ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১ জুন। প্রতীক বরাদ্দ হবে ২ জুন।