পুঠিয়ায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে আ.লীগ নেতার শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন

আজ বুধবার দুপুরে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী পুঠিয়ায় সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কোরবান আলীকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবনবন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান শিক্ষক মো. কোরবান আলীও উপস্থিত ছিলেন। তবে মানববন্ধনে আসার পথে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন

এর আগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগের এক নেতার হুমকিতে গত সোমবার বিদ্যালয়ের টয়লেটে লুকিয়েছিলেন কোরবান আলী। পরে সেখান থেকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পরে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম আবদুস সামাদ মোল্লা। তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে কোরবান আলী বলেন, সৈয়দ করম আলী শাহ্ উচ্চবিদ্যালয়ে করোনাকালে একটি অ্যাডহক কমিটি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন থেকে সেই কমিটি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তাঁরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। গত সোমবার হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ মোল্লাসহ স্থানীয় ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি বিদ্যালয়ে আসেন। একটি লিখিত কাগজ তাঁর সামনে দিয়ে এতে সই করার জন্য জোরাজুরি করেন। তিনি সই দিতে না চাইলে আবদুস সামাদ মোল্লা তাঁর কলার ধরে টানাটানি ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তাঁকে মারার জন্য তাঁরা তেড়ে এলে ভয়ে বিদ্যালয়ের টয়লেটে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন দিলে পুঠিয়া থানার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।

আবদুস সামাদ মোল্লার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে কোরবান আলী বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করার জন্য পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসার সময় আবদুস সামাদ মোল্লার লোকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বাধা দিয়েছেন। পরে তাঁরা পুলিশের সহয়তায় পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আসেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, বাধা দেওয়ার কোনো বিষয় তাঁর জানা নেই। তিনি রাজশাহীতে একটি কাজে এসেছিলেন, পুঠিয়ায় ছিলেন না। এ ছাড়া ওই প্রধান শিক্ষককের লাঞ্ছিতের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তুচ্ছ বিষয়কে এভাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বড় করছেন।

এর আগে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য মো. গত মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ওই প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের ঘটনাটি সঠিক। তাঁরা এ জন্য একটি প্রতিবাদ সভা করবেন।