নাজিরপুরে নৌকার সমর্থক কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম

আহত লাভলু শেখ। বৃহস্পতিবার রাতে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে নির্বাচন-পরবর্তী সহায়তায় বিজয়ী নৌকার প্রার্থীর এক সমর্থককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়নের ভীমকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর জখম ওই ব্যক্তির নাম লাভলু শেখ (৩৮)। তিনি উপজেলার শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন কৃষক লীগের প্রচার সম্পাদক। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্বাচনে পরাজিত ঈগল প্রার্থীর সমর্থকেরা এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে লাভলু শেখের পরিবার।

আরও পড়ুন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লাভলু শেখ পিরোজপুর-১ (সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি) আসনের নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শ ম রেজাউল করিম ৮৫ হাজার ৪১০ ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক দুবারের সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ঈগল প্রতীকে ৭৫ হাজার ৪৮৭ ভোট পেয়েছেন। আউয়াল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। শ ম রেজাউল জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক।

আরও পড়ুন
পিরোজপুর-১ আসনে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী শ ম রেজাউল করিম এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়াল
ফাইল ছবি

আহত লাভলু শেখের ছোট বোন কেয়া খানম বলেন, আজ সন্ধ্যায় তাঁর ভাই উপজেলার ভীমকাঠি গ্রামের ব্যাপারীবাড়ি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে আগে থেকে ওত পেতে থাকা শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান ও তাঁর ছোট ভাই আসিফসহ ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাঁর ভাইয়ের (লাভলু) ওপর হামলা করেন। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন। স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য পবিত্র ব্যাপারী তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থক।

আরও পড়ুন

নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনিয়া জামান বলেন, লাভলু শেখের মাথা ও মুখমণ্ডলে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তাঁর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে শ্রীরামকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘আমি এ ঘটনায় জড়িত নই। আমি ঘটনার সময় আমার বাড়িতে ছিলাম।’

নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় মামলা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন