দরদাম ঠিক হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত বিক্রি হলো না ‘মহারাজা’ ও ‘টানেল’

‌সিলেটের কা‌জির বাজার পশুর হা‌টে দরদাম ঠিক হলেও মহারাজা ও টানেল‌কে বি‌ক্রি করতে পারেন‌নি দিনাজপুরের আবু হেনা মোস্তফা কামাল
ছ‌বি: প্রথম আলো

সিলেটের কোরবানির হাটে বিশাল আকারের দুটি গরু নিয়ে এসেছিলেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের আবু হেনা মোস্তফা কামাল। ফ্রিজিয়ান জাতের ‘মহারাজা’ ও ‘টানেল’ নামের দুটি গরুর দরদাম ঠিক হলেও বিক্রি করতে পারেননি তিনি। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আর তিনি বড় গরু পালবেন না। দেশে বড় গরু কোরবানি দেওয়ার মানুষ কমেছে।

আরও পড়ুন

আজ শুক্রবার বিকেলে কথা হয় আবু হেনার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় ৪০ মণ ওজনের ষাঁড় মহারাজার দাম তিনি হেঁকেছিলেন ২৫ লাখ টাকা। ঈদের দুদিন আগে দামাদামি করে ১০ লাখ টাকা বলেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি গরুটি দিয়েও দিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে ওই ক্রেতা বেঁকে বসেন। এ জন্য তিনি ঈদের পরদিন আজকেও গরুটি বিক্রির চেষ্টা করছেন। রাতের মধ্যে বিক্রি না হলে তিনি বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন

আবু হেনা বলেন, ওই ক্রেতা দামদর ঠিক করেন। তখন বলেন, তিনি বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে পরে গরুটি নেবেন। এরপর ওই ক্রেতা আর ফিরে আসেননি। পরে আরেক ক্রেতা এসে কেজি দরে কিনতে চান। এতেও তিনি রাজি হন। চামড়াসহ ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য রফা হয়, কিন্তু ওই ক্রেতাও আর কেনেননি। এই ক্রেতাদের সুযোগসন্ধানী বলে ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি।

মহারাজার তুলনায় কিছুটা ছোট গরু টানেলের ওজন প্রায় ৩০ মণ। প্রায় সাড়ে তিন বছর বয়সী টানেলের দাম তিনি হেঁকেছিলেন ১৫ লাখ টাকা। তবে দরাদরি করে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত সেটির দাম উঠেছিল। এই দামেই তিনি বিক্রি করতে রাজি হন। কিন্তু ওই ক্রেতা আর কেনেননি।

আরও পড়ুন

দুটি গরু নিয়ে দিনাজপুর থেকে সিলেটে আসা এবং সেগুলোর দেখভালে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে বলে জানালেন আবু হেনা। দুটির একটি গরুও বিক্রি করতে না পেরে তাঁর চাপ বেড়েছে।

মহারাজা ও টানেল যদি আগামী কোরবানির ঈদ পর্যন্ত থাকে, আর বাজারে তুলবেন না বলে জানালেন আবু হেনা। কেজি দরে মাংস বিক্রি করে দেবেন। সিলেটের বাজারে আজ রাত পর্যন্ত দেখবেন। বিক্রি না হলে রাত একটার দিকে গাড়ি নিয়ে রওনা দেবেন বাড়ির উদ্দেশে।