শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
ফাইল ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে সোনিয়া বেগম (২৬) নামের আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হলো।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর টের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন

আগুনে শিশুর মৃত্যু, পরিবারের পাঁচজন হাসপাতালে

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সোনিয়া বেগমের শরীরের ২৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তিনি গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু ইয়াসিনের (১২) অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

গত ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে চারটার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল জেলেপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়। ঘটনার দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু মরিয়ম (৮) মারা যায়। এরপর গত শুক্রবার শাহাদাত (২০) ও মোছা. বেগম (৬০) নামের দুজন এবং গতকাল ভোরে পান্না বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন

কেরানীগঞ্জে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

দগ্ধদের স্বজনেরা জানান, ভোররাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ইয়াছিন শৌচাগারে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিল। তখন তার শরীরে হঠাৎ রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে আগুন লেগে যায়। পরে সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের ধারণা, গ্যাসের চুলার ছিদ্র থেকে যেকোনোভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।