ময়মনসিংহে পরীক্ষাকেন্দ্রের মাঠের সেই ‘বেঞ্চের সাঁকো’ সরিয়ে রাস্তা নির্মাণ

বিদ্যালয়ের ফটক থেকে কক্ষে যাতায়াতে ব্যবহার করা ‘বেঞ্চের সাঁকো’ সরিয়ে ওই স্থানে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে কক্ষে প্রবেশ করছেন পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের পানি কিছুটা কমেছে। বিদ্যালয়ের ফটক থেকে কক্ষে যাতায়াতে ব্যবহার করা ‘বেঞ্চের সাঁকো’ সরিয়ে ওই স্থানে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা ওই রাস্তায় হেঁটে কক্ষে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন।

আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে বিদ্যালয়টির মাঠের পানি আগের দিনের চেয়ে কম দেখা গেছে। ফটক থেকে কক্ষে যাতায়াতে ব্যবহার করা ‘বেঞ্চের সাঁকো’ সরিয়ে সেখানে বালুমিশ্রিত খোয়া ফেলে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা সেই রাস্তায় হেঁটে কক্ষে প্রবেশ করেন। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ডুবে থাকা ও বেঞ্চের সাঁকো নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলো ছাপা পত্রিকায় ও অনলাইনে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বাটাজোর বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রসচিব আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৯৪। এর মধ্যে বিজ্ঞান শাখার ২৯ জন, মানবিক শাখার ২০৩ ও ব্যবসায়ী শিক্ষা শাখায় ৬২ জন পরীক্ষার্থী আছেন। আজকের বাংলা পরীক্ষায় একজন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

জলাবদ্ধতা বিষয়ে বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল কদ্দুস বলেন, এক দিন বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের মাঠে দুই থেকে আড়াই ফুট পানি জমে। বিদ্যালয়ের পাশের নিচু জায়গা ভরাট করে ফেলার কারণে বাইরের পানিও মাঠে চলে আসে। বৃষ্টির মৌসুমে আড়াই থেকে তিন মাস জলাবদ্ধতা থাকে। ২০২১ সাল থেকে এ অবস্থা চলে আসছে। বিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী আছেন। এইচএসসি পরীক্ষার জন্য বর্তমানে বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ আছে।

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ পানিতে থই থই। বিদ্যালয়ের ফটক থেকে কক্ষে যাতায়াতের জন্য পেতে রাখা হয়েছে বেঞ্চ। বুধবার সকালের চিত্র
ছবি: প্রথম আলো
আরও পড়ুন

স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, বিদ্যালয়ের পানি বের হওয়ার নালাগুলোর মুখ মাটি ভরাটে বন্ধ হয়েছিল। তাই পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। জলাবদ্ধতা দূর করতে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই এলাকাবাসীর পক্ষে সম্প্রতি তিনি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভালুকার ইউএনও গত সোমবার পরিদর্শনে এসে স্কুল মাঠের জলাবদ্ধতা দূর করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জোর তাগিদ দেন।

নতুন তৈরি করা রাস্তা দিয়ে হেঁটে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করছেন এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চবিদ্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় কাচিনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান বলেন, ইউএনওর নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের আশপাশের বন্ধ হওয়া নালাগুলোর মুখের মাটি সরানো হয়েছে। মাঠের পানি কমার পর যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা বেঞ্চ সরিয়ে ওই স্থানে বালুমিশ্রিত খোয়া ফেলে রাস্তা নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। আশপাশের জমির চেয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ নিচু। তাই মাঠের সম্পূর্ণ পানি সরাতে গেলে মাটি ভরাট করতে হবে এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে।