কারখানার শ্রমিক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে ওই কারখানার শ্রমিকেরা খাবার বিরতিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় কারখানার শ্রমিক জুয়েল মিয়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হতে গেলে একটি কাভার্ড ভ্যান তাঁকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে জুয়েল মিয়া সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
এ সময় অন্য শ্রমিকেরা কারখানার কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ এতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা মহাসড়কে নেমে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে বেলা তিনটার দিকে নাওজোর হাইওয়ে থানা-পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিয়ুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
ওই কারখানার শ্রমিক ইসমাইল হোসেন বলেন, কারখানার কর্তৃপক্ষ আহত জুয়েলের চিকিৎসার বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে অবহেলা করে। কর্তৃপক্ষের এমন আচরণের প্রতিবাদে শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ওই কারখানার কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকদের বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। আহত কারখানা কর্তৃপক্ষ আহত শ্রমিকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলে শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন। বেলা সাড়ে তিনটা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। কারখানা এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।