পঞ্চগড়ে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার

জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক
ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ‘সালানা জলসা’ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ঘিরে সংঘর্ষ, বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাককে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই ঘটনায় ২৯টি মামলায় গ্রেপ্তার হলেন ২০৭ জন।

আরও পড়ুন

গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ-আম কাঁঠাল এলাকা থেকে আবদুর রাজ্জাককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পঞ্চগড় সদর থানা–পুলিশ। পরে ৩ মার্চ পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের ট্রাফিক বক্সের সামনে ককটেল ফাটিয়ে হামলা, সরকারি কাজে বাধাদান ও আক্রমণের ঘটনায় পুলিশের করা একটি মামলায় আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের ফুলপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা প্রথম আলোকে বলেন, আবদুর রাজ্জাককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন

প্রসঙ্গত, পঞ্চগড় শহরের পাশে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধের দাবিতে ৩ মার্চ জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মিছিল বের করা হয়। এতে পুলিশ বাধা দেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একদল বিক্ষোভকারী আহম্মদনগর এলাকায় গিয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত হন শতাধিক মানুষ।

আরও পড়ুন

হামলা, সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৪ মার্চ রাত থেকে এ পর্যন্ত ২৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় ২০টি ও বোদা থানায় ৯টি মামলা হয়েছে। ২৯ মামলার মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে ৭টি, র‍্যাবের পক্ষ থেকে একটি ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে ২১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ১৪ হাজারের বেশি বলে জানা গেছে।