কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির ২৬ নেতা-কর্মী কারাগারে

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে এক সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলা সদরের তিনকোনা মোড়ে
ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপি ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় উপজেলা বিএনপির ২৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক লিটন চন্দ্র রায় এ আদেশ দেন। পরে বিকেলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। মামলায় ১২ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানোর তথ্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সম্পাদক আবদুল মান্নান। তিনি নিজে এই মামলার আসামি হিসেবে জামিন পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের করা মামলায় দুজন নেতা-কর্মী ছাড়া সবাই আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করি। আদালত আমিসহ ১২ জনকে জামিন দিলেও অপর ২৬ জনকে কারাগারে পাঠান।’

আরও পড়ুন

বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা তো শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে এখন মামলার আসামি হয়ে গেলাম। এখন আমাদের প্রথম কাজ হলো নেতা-কর্মীদের মুক্তি। জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম ও যুগ্ম সম্পাদক সোহেল হোসেন কায়কোবাদ নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য আইনজীবীদের পরামর্শে কাজ করছেন।’

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতার করা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত ১২ জনকে জামিন দিয়ে ২৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। মামলায় এখনো দুজন পলাতক। তবে আদালতের নথি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কারা জামিন পেলেন এবং কারা পলাতক, সে বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন না।

আরও পড়ুন

এর আগে শনিবার কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব ওরফে দুলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা। উপজেলা শহরের তিনকোনা মোড়ের ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কর্মী ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। ঘটনার পর রাতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. জনাব আলী বাদী হয়ে বিএনপির ৪০ নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।